top of page
Writer's pictureLacsb.com

বাংলাদেশে আয়কর: ব্যক্তি এবং কোম্পানির জন্য আইনি বাধ্যবাধকতা এবং দায়িত্ব





আয়কর বাংলাদেশ সরকারের রাজস্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস, এবং ব্যক্তি এবং কোম্পানি উভয়কেই তাদের আয়ের উপর কর দিতে হয়। 1984 সালের আয়কর অধ্যাদেশ হল বাংলাদেশে আয়কর নিয়ন্ত্রণকারী প্রাথমিক আইন। এই অধ্যাদেশে আয়কর সংক্রান্ত ব্যক্তি ও কোম্পানির আইনি বাধ্যবাধকতা এবং দায়িত্বের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।


বাংলাদেশের ব্যক্তিদের তাদের আয়ের উপর আয়কর দিতে হয়, যার মধ্যে বেতন, মজুরি, ভাড়া, লভ্যাংশ, সুদ এবং আয়ের অন্যান্য উৎস অন্তর্ভুক্ত থাকে। আয়কর হার ব্যক্তির আয় স্তরের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। 2022-23 অর্থবছরের করের হার নিম্নরূপ:


2,50,000 টাকা পর্যন্ত: 0%

BDT 2,50,001 থেকে BDT 4,00,000: 10%

BDT 4,00,001 থেকে BDT 7,50,000: 15%

7,50,001 টাকা থেকে 12,00,000 টাকা: 20%

12,00,001 টাকা থেকে 18,00,000 টাকা: 25%

18,00,000 টাকার উপরে: 30%


বাংলাদেশের কোম্পানিগুলোকেও তাদের লাভের ওপর আয়কর দিতে হয়। কোম্পানিগুলির জন্য করের হার 2022-23 অর্থবছরের জন্য 25%। আয়কর ছাড়াও, কোম্পানিগুলিকে সম্পূরক শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং অন্যান্য করও দিতে হবে।




ব্যক্তিদের জন্য আইনি বাধ্যবাধকতা এবং দায়িত্ব


1984 সালের আয়কর অধ্যাদেশ অনুসারে, বাংলাদেশে ব্যক্তিদের আয়কর সংক্রান্ত বেশ কিছু আইনি বাধ্যবাধকতা এবং দায়িত্ব রয়েছে। এই বাধ্যবাধকতা এবং দায়িত্বগুলির মধ্যে কয়েকটি অন্তর্ভুক্ত:


1. আয়করের জন্য নিবন্ধন করা: যাদের বার্ষিক আয় 2,50,000 টাকা বা তার বেশি তাদের আয়করের জন্য নিবন্ধন করতে হবে। তাদের অবশ্যই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে একটি করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) পেতে হবে।


2. আয়কর রিটার্ন দাখিল করা: ব্যক্তিদের একটি আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে যদি তাদের আয় 2,50,000 টাকার করমুক্ত সীমা অতিক্রম করে। প্রতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে।


3. আয়কর প্রদান: ব্যক্তিদের তাদের আয়ের উপর আয়কর দিতে হবে। প্রতি বছরের 15 জুলাইয়ের মধ্যে কর পরিশোধ করতে হবে। ব্যক্তিরা অনলাইন ব্যাঙ্কিং, মোবাইল ব্যাঙ্কিং বা অনুমোদিত ব্যাঙ্ক শাখায় তাদের আয়কর দিতে পারেন।


4. রেকর্ড রাখা: ব্যক্তিদের তাদের আয়, ব্যয় এবং প্রদত্ত করের রেকর্ড রাখতে হবে। এই রেকর্ডগুলি ট্যাক্স বছরের শেষ থেকে কমপক্ষে পাঁচ বছর ধরে রাখতে হবে।




কোম্পানির জন্য আইনি বাধ্যবাধকতা এবং দায়িত্ব


বাংলাদেশে কোম্পানিগুলোর আয়কর সংক্রান্ত বেশ কিছু আইনি বাধ্যবাধকতা ও দায়িত্ব রয়েছে। এই বাধ্যবাধকতা এবং দায়িত্বগুলির মধ্যে কয়েকটি অন্তর্ভুক্ত:


1. আয়করের জন্য নিবন্ধন: কোম্পানিগুলিকে তাদের ব্যবসা শুরুর 45 দিনের মধ্যে আয়করের জন্য নিবন্ধন করতে হবে। তাদের অবশ্যই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে একটি করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) পেতে হবে।


2. আয়কর রিটার্ন দাখিল করা: কোম্পানিগুলিকে প্রতি বছরের 30 সেপ্টেম্বরের মধ্যে একটি আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। রিটার্নে অবশ্যই কোম্পানির আর্থিক বিবৃতি এবং ট্যাক্স গণনা অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।


3. আয়কর প্রদান: কোম্পানিগুলিকে তাদের লাভের উপর আয়কর দিতে হবে। প্রতি বছরের 15 জুলাইয়ের মধ্যে কর পরিশোধ করতে হবে। কোম্পানিগুলি অনলাইন ব্যাঙ্কিং, মোবাইল ব্যাঙ্কিং বা অনুমোদিত ব্যাঙ্ক শাখায় তাদের আয়কর প্রদান করতে পারে।


4. রেকর্ড রাখা: কোম্পানিগুলিকে তাদের আয়, ব্যয় এবং প্রদেয় করের রেকর্ড রাখতে হবে। এই রেকর্ডগুলি ট্যাক্স বছরের শেষ থেকে কমপক্ষে পাঁচ বছর ধরে রাখতে হবে।




কিভাবে আইনজীবী আয়কর বিষয়ে সাহায্য করে


আইনজীবী ব্যক্তি এবং কোম্পানিকে আয়কর সংক্রান্ত বিষয়ে নেভিগেট করতে সাহায্য করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আইনজীবী আয়কর সংক্রান্ত বিষয়ে কীভাবে সাহায্য করেন তার কিছু দৃশ্য এবং উদাহরণ হল:



1. ট্যাক্স প্ল্যানিং: আইনজীবীরা ব্যক্তি এবং সংস্থাগুলিকে তাদের কর পরিকল্পনা করতে এমনভাবে সাহায্য করতে পারেন যা তাদের কর দায় কমিয়ে দেয়। তারা কর-দক্ষ বিনিয়োগ, ছাড় এবং ছাড়ের বিষয়ে পরামর্শ দিতে পারে এবং করের বোঝা কমাতে ব্যবসায়িক লেনদেন গঠনে সহায়তা করতে পারে।


উদাহরণ স্বরূপ, একজন আইনজীবী কর দায়বদ্ধতা কমানোর জন্য কীভাবে একীভূতকরণ বা অধিগ্রহণের কাঠামো তৈরি করবেন সে বিষয়ে একটি কোম্পানিকে পরামর্শ দিতে পারেন। তারা একজন ব্যক্তিকে কীভাবে দাতব্য অনুদানের জন্য ট্যাক্স কর্তনের দাবি করতে হয় সে বিষয়ে পরামর্শ দিতে পারে।



2. বিরোধ সমাধান: আইনজীবী কর কর্তৃপক্ষের সাথে বিরোধে ব্যক্তি এবং কোম্পানির প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন। তারা ট্যাক্স অডিট, মূল্যায়ন, এবং আপিল সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করতে পারে। তারা ট্যাক্স মামলার ক্ষেত্রে ক্লায়েন্টদের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।


উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি কোম্পানি ট্যাক্স অডিটের সম্মুখীন হয়, তাহলে একজন আইনজীবী কর কর্তৃপক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় নথি প্রস্তুত এবং জমা দিতে সহায়তা করতে পারেন। তারা অডিট প্রক্রিয়া চলাকালীন যে কোনও বিরোধে কোম্পানির প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।



3. সম্মতি: আইনজীবীরা নিশ্চিত করতে সাহায্য করতে পারেন যে ব্যক্তি এবং সংস্থাগুলি আয়কর আইন এবং প্রবিধানগুলি মেনে চলে। তারা আয়কর রিটার্ন প্রস্তুত ও দাখিল করতে সহায়তা করতে পারে এবং ট্যাক্স কমপ্লায়েন্স সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ দিতে পারে।


উদাহরণস্বরূপ, একজন আইনজীবী একটি কোম্পানীকে পরামর্শ দিতে পারেন কিভাবে ট্রান্সফার প্রাইসিং প্রবিধানগুলি মেনে চলতে হয়, যার জন্য কোম্পানিগুলিকে তাদের আন্তঃ-কোম্পানি লেনদেনগুলিকে নিশ্চিত করতে হবে। তারা আন্তর্জাতিক ট্যাক্স প্রবিধান মেনে চলতে বিদেশী আয় এবং সম্পদের রিপোর্ট করার বিষয়ে একজন ব্যক্তিকে পরামর্শ দিতে পারে।



4. আলোচনা এবং নিষ্পত্তি: আইনজীবীরা একটি নিষ্পত্তি বা চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য ব্যক্তি এবং কোম্পানির পক্ষ থেকে কর কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করতে পারেন। তারা ট্যাক্স বিরোধগুলি সমাধান করতে এবং অনুকূল করের নিষ্পত্তিতে আলোচনায় সহায়তা করতে পারে।


উদাহরণস্বরূপ, একজন আইনজীবী এমন একটি কোম্পানির পক্ষে কর কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করতে পারেন যা একটি বড় ট্যাক্স দায়বদ্ধতার সাথে মূল্যায়ন করা হয়েছে। তারা কর কর্তৃপক্ষের সাথে কাজ করতে পারে এমন একটি নিষ্পত্তিতে পৌঁছাতে যা কোম্পানির পক্ষে অনুকূল।




আয়কর বাংলাদেশ সরকারের রাজস্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। ব্যক্তি এবং কোম্পানি উভয়েরই আয়কর সংক্রান্ত আইনি বাধ্যবাধকতা এবং দায়িত্ব রয়েছে। ব্যক্তিদের অবশ্যই আয়করের জন্য নিবন্ধন করতে হবে, আয়কর রিটার্ন ফাইল করতে হবে, আয়কর দিতে হবে এবং রেকর্ড রাখতে হবে। কোম্পানিগুলিকে অবশ্যই আয়করের জন্য নিবন্ধন করতে হবে, আয়কর রিটার্ন ফাইল করতে হবে, আয়কর দিতে হবে এবং রেকর্ড রাখতে হবে। কর পরিকল্পনা, বিরোধ নিষ্পত্তি, সম্মতি, এবং আলোচনা এবং নিষ্পত্তি সহ আয়কর সংক্রান্ত বিষয়গুলি নেভিগেট করতে ব্যক্তি এবং সংস্থাগুলিকে সাহায্য করতে আইনজীবীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

6 views
bottom of page