বাংলাদেশে পণ্য আমদানি করার সময়, সরকার দ্বারা নির্ধারিত বিধিমালা এবং নির্দেশাবলী অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ যাতে সমস্ত অপারেশন সহজ এবং বৈধ হয়। আমদানি কোড, যা হারমোনাইজড সিস্টেম (এইচএস কোড) নামেও পরিচিত, আমদানিকৃত পণ্যগুলি শ্রেণীবদ্ধ করার জন্য ব্যবহৃত হয় এবং প্রযোজ্য কর কর কর্তব্য এবং কর নির্ধারণ করা হয়। এই নিবন্ধে আমরা বাংলাদেশে আপনার ব্যবসার প্রয়োজনীয়তার জন্য আমদানি কোড প্রয়োগের সেরা উপায়গুলি আলোচনা করব।
১। এইচএস কোড সিস্টেম বুঝুন:
আমদানি কোড প্রয়োগের প্রথম পদক্ষেপ হল এইচএস কোড সিস্টেম বুঝা। এইচএস কোড সিস্টেম হল একটি মানকীকৃত সিস্টেম যা পণ্যগুলি তাদের স্বভাব, ফর্ম এবং সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে শ্রেণীবদ্ধ করতে ব্যবহৃত হয়। এটি একটি আন্তর্জাতিক সিস্টেম যা বাংলাদেশ সহ ২০০ টিরও বেশি দেশ ব্যবহার করে। প্রতিটি এইচএস কোড একটি নির্দিষ্ট পণ্য বা কমডিটির সাথে সম্পর্কিত।
২। প্রযোজ্য এইচএস কোড নির্ধারণ করুন:
আপনি এইচএস কোড সিস্টেম বুঝে নিলে, পরবর্তী পদক্ষেপ হল আপনার আমদানি করতে চান সেই পণ্যের জন্য প্রযোজ্য এইচএস কোড নির্ধারণ করা। আপনি বাংলাদেশ কাস্টমস ট্যারিফ ব্যবহার করে এইচএস কোড নির্ধারণ করতে পারেন, যা অনলাইনে উপলব্ধ। বাংলাদেশ কাস্টমস ট্যারিফটি এইচএস কোড এবং সাথে সম্পর্কিত তুলনমূলক কর, বৃত্তান্তগুলি তালিকা করে দেয়।
৩। কাস্টমস ব্রোকারের সাথে পরামর্শ নিন:
কাস্টমস ব্রোকারের সাথে পরামর্শ নেওয়া আপনার আমদানি প্রক্রিয়াকে সহজ করতে সাহায্য করতে পারে এবং বিধিনিষ্ঠ অনুসরণ নিশ্চিত করতে সাহায্য করতে পারে। কাস্টমস ব্রোকার পণ্যের শ্রেণীবিন্যাস সহায়তা করতে পারেন, প্রয়োজনীয় অনুমতি এবং লাইসেন্স অর্জন করতে সাহায্য করতে পারেন এবং কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়াকে সহজ করতে সাহায্য করতে পারেন।
৪। প্রয়োজনীয় অনুমতি এবং লাইসেন্স অর্জন করুন:
কিছু পণ্য বাংলাদেশে আমদানি করার আগে অনুমতি এবং লাইসেন্স প্রয়োজন হয়। যেমন, অস্ত্র, বিস্ফোরক এবং কিছু রাসায়নিক পণ্য বিশেষ অনুমতি প্রয়োজন। ব্যবসা মালিকদের নির্দিষ্ট পণ্যের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি এবং লাইসেন্স সংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধান করতে হবে এবং আমদানি প্রক্রিয়া শুরু করার আগে তা অর্জন করতে হবে।
৫। নথিপত্র প্রস্তুত করুন:
বাংলাদেশে পণ্য আমদানি করার জন্য বিভিন্ন নথিপত্র প্রস্তুত করতে হয়, যেমন চালান, বিল অফ লেডিং এবং প্যাকিং লিস্ট। ব্যবসা মালিকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা উচিত যে সমস্ত নথিপত্র পূর্ণ এবং সঠিক যাতে দ্রুত প্রসব এবং জরিমানা থেকে বাঁচা যায়।
৬। প্রযোজ্য কর এবং শুল্ক পরিশোধ করুন:
বাংলাদেশে পণ্য আমদানি করার জন্য প্রযোজ্য কর এবং শুল্ক পরিশোধ করতে হয়। ব্যবসা মালিকদের উচিত যে তারা পরিশোধের জন্য যথাসম্ভব ধন সংগ্রহ করে নিশ্চিত হয়ে যে আমদানি প্রক্রিয়াটি শুরু করতে পারেন। অনলাইনে বা নির্দিষ্ট ব্যাংকের শাখায় পরিশোধ করা যেতে পারে।
৭। কাস্টমস বিধিমালা মেনে চলুন:
দরদাস্ত এবং জরিমানার সমন্বয়ে কাস্টমস বিধিমালা মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসা মালিকদের উচিত যে তারা সরঞ্জামগুলি গুণমানের মানদণ্ড পূর্বনির্ধারিত সরকারী মান পূরণ করে এবং প্যাকেজিং এবং লেবেলিং প্রয়োজনীয় সম্পূর্ণ করেন।
সংক্ষেপঃ বাংলাদেশে আপনার ব্যবসার প্রয়োজনে আমদানি কোড বাস্তবায়ন করা হলে সতর্ক পরিকল্পনা এবং বিধিমালার সাথে সম্পূর্ণ অনুসরণের প্রয়োজন। এইসব প্রয়োজনীয় ধাপসমূহ হলো - এইচএস কোড সিস্টেম বুঝা, প্রয়োগযোগ্য এইচএস কোড নির্ধারণ করা, কাস্টমস ব্রোকার সম্পর্কে পরামর্শ নেওয়া, প্রয়োজনীয় অনুমতি এবং লাইসেন্স পেতে, জরিপত্র তৈরী করা, কর এবং শুল্ক পরিশোধ করা, কাস্টমস বিধিমালার সাথে সম্পূর্ণ অনুসরণ করা। এছাড়াও ব্যবসা মালিকদের উচিত যে তারা সমস্ত বিধিমালার সাথে মানদণ্ড পূর্বনির্ধারিত সরকারী বিধি এবং নির্দেশাবলী অনুসরণ করেন। ব্যবসা মালিকদের দরদাস্ত করার জন্য আইনি এবং হিসাব পেশাদারদের সাথে পরামর্শ নেওয়া উচিত।
great